আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ট নগরবাসী (পর্ব-২)
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দক্ষিণের নাগরিকদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে। বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন উৎস থেকে প্রতিদিন গড়ে ২৭’শ থেকে ২৮’শ টন বর্জ্য সৃষ্টি হয়।
ঢাকা উত্তরের মতো ঢাকা দক্ষিণের বিভিন্ন রাস্তাগুলোকে ডাস্টবিন ও আবর্জনা রাখার কাজে ব্যবহার করা হয়। যার কারণে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষকে।
তবে সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, নানা ধরনের জটিলতা থাকার কারণেই বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনায় আশানুরুপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
সর্বশেষ আদমশুমারী মতে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বসবাস করেন প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। আর প্রতিদিন এ অঞ্চলে সৃষ্টি হচ্ছে প্রায় ৩ হাজার টন বর্জ্য।
যার জন্য দিনে দিনে যেন রাজধানীর এই সিটি করপোরেশন এলাকাও আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে। সড়ক দখল করে বর্জ্য ফেলার পর দিনে-দুপুরেই চলছে খোলা ট্রাকে চলছে বর্জ্য বহণের কাজ।
এছাড়াও সড়কের মাঝে রাখা এসব বর্জ্যের কন্টেইনারের পাশে নির্লিপ্তভাবে প্রকৃতির ডাকে সারা দিচ্ছে ভাসমান মানুষ। পরিবেশ দুষিত করার জন্য সিটি করপোরেশনকেই দায়ী করছেন পথচারীরা।
যততত্র আবর্জনা ফেলার কারণে ঢাকা দক্ষিণের ড্রেনেজ ব্যবস্থাও হচ্ছে বাধা গ্রস্থ। সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্ট জলজট বাড়িয়ে তুলছে জনভোগান্তি।
খিলগাও ফ্লাইওভারের প্রবেশ মুখের অর্ধেকই দখল করে রেখেছে খোদ সিটি কর্পোরেশনের কন্টেইনার। আর এর ফলে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা।
প্রতিনিয়ত আবর্জনা ফেলার কারণে নগর সৌন্দয্যের অলংকার ”হাতিরঝিল” অল্পদিনেই হারিয়ে ফেলেছে তার শোভা। একই চিত্র আরো অনেক জায়গারই।
বাসস্ট্যান্ড, মার্কেটসহ বিভিন্ন জনবহুল স্থানের সামনে রাখা আছে আবর্জনার কন্টেইনার। নাক চেপে রাস্তা পরাপার হওয়া ছাড়া আর কী-ইবা করার থাকতে পারে তিলোত্তমা ঢাকার অভাগা মানুষের।
আর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুরাবস্থার জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মতোই একই কারণ তুলে ধরলেন দক্ষিণের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থানা কর্মকর্তা।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাফ